25.4 C
New York
Tuesday, July 8, 2025

spot_img

কিভাবে সিটি ব্যাংক থেকে মাত্র 5 মিনিটে একটি আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড নিবেন?

বাংলাদেশে যখন আমরা কোনো কিছু কেনাকাটা করতে চাই বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন অনলাইন স্টরে সেগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের তেমন কোন অসুবিধা হয় না।  সেগুলোর ক্ষেত্রে আমরা খুব সহজে মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড,  নগদ, বিকাশ বা রকেট ইত্যাদির মাধ্যমে পেমেন্ট করে দিতে পারি। কিন্তু যখন আমরা ডোমেইন হোস্টিং কিনতে চাই বা ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট থেকে কোন কিছু কিনতে চাই বা কনো কোন ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট করতে হয় তখন আমরা সেটি খুব সহজে করতে পারিনা। 

আমাদের যে আসল ঝামেলাটা সেটি হচ্ছে যে আমরা খুব সহজে কোন ইন্টার্নেশনাল কার্ড পাই না অর্থাৎ ব্যাংক থেকে আমাদের যে কার্ডগুলো দেওয়া হয় সেই কার্ডগুলো মূলত লোকাল ভাবে সীমাবদ্ধ।  আপনি যদি খুব দ্রুত বা ইনস্টেন কোন ইন্টার্নেশনাল কার্ডের প্রয়োজন পেতে চান তাহলে আপনাকে ব্যাংকের শরণাপন্ন হতে হবে। এই  ইন্টার্নেশনাল কার্ড গুলোকে বাংলাদেশী ভাষায় বা বাংলাদেশের ব্যাংকিং সিস্টেমের ভাষায় ডুয়েল কারেন্সি কার্ড বলে। 

আরো পড়ুনঃ কিভাবে ওয়াইস (Wise) একাউন্ট খুলবেন এবং ফুল ভেরিফাইড করবেন ?

যারা ইউরোপ বা আমেরিকার দেশগুলতে থাকেন তাদের কাছে তো ডুয়েল কারেন্সি কার্ড বলতে কোন কার্ড নেই ব্যাংক থেকে যে কার্ড গুলো তারা পেয়ে থাকেন সেগুলোর মাধ্যমে তারা ইন্টারন্যাশনাল এবং লোকাল যেকোনো ধরনের ট্রানজেকশন তারা করে নিতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এখানে একটি রেস্ট্রিকশন আছে যে আপনি লোকাল কার্ডগুলোর মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল কোন ট্রানজেকশন করতে পারবেন না, যতক্ষণ আপনার এই কার্ডটিকে একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড হিসেবে ব্যাংক অনুমোদন দিয়ে থাকে। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ডুয়েল কারেন্সি কার্ড আপনি কোন ব্যাংকের মাধ্যমে খুব সহজেই পেতে পারেন?  আমরা জানি সিটি ব্যাংক (The City Bank Ltd.) বাংলাদেশে খুব ভালো একটি প্রাইভেট ব্যাংক এবং তাদের সার্ভিসে তাদের গ্রাহকগণ মোটামুটি ভালো সন্তুষ্টি প্রকাশ করে থাকেন।  আপনি যদি চান সিটি ব্যাংক থেকে মাত্র 5 মিনিটে একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিতে পারেন এবং এই কার্ড দিয়ে আপনি দুই ঘণ্টার মধ্যেই আপনার ইন্টার্নেশনাল ট্রানজেকশন গুলো শুরু করতে পারেন।

আমরা যেমন ইন্টার্নেশনাল কার্ড বলতে ভিসা কার্ড বা মাস্টার কার্ড কে বুঝে থাকি ঠিক তেমনি সিটি ব্যাংক বাংলাদেশ আমেরিকান এক্সপ্রেস নামে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড প্রদান করে থাকে।  আপনি মাত্র 500 টাকায় একাউন্ট ওপেনিং ফি দিয়ে  ইনস্ট্যান্ট আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড নিতে পারেন।  আর আমাদের আজকের এই টিউটোরিয়াল এর বিষয় হচ্ছে কিভাবে আমরা সিটি ব্যাংক থেকে মাত্র 5 মিনিটে একটি আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড নিতে পারি।  ধারাবাহিক উপস্থাপন করতে চলেছে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে যদি আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন এবং উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এই ইনফর্মেশন গুলো আপনার কাজে লাগবে একটি আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড পেতে।

আপনার অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি  আপনার কাছে যদি পাসপোর্ট না থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনি বাংলাদেশের কোন ব্যাংক থেকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড আপনি গ্রহণ করতে পারবেন না।  তাই আপনার কাছে যদি একটি পাসপোর্ট থেকে থাকে এবং আপনি চাচ্ছেন যে একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিতে যেটির মাধ্যমে আপনারা ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গুলোকে খুব সহজেই প্রসেস করতে পারবেন তাহলে আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন। 

সিটি ব্যাংক থেকে আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড নিতে আপনার প্রয়োজনীয় কি কি কাগজ পত্র লাগবে?

একটি সাধারন ব্যাংক একাউন্ট খুলতে যা যা কাগজপত্র লাগে আমাদের এই অ্যাকাউন্টটি খুলতেই কাগজপত্র লাগবে কিন্তু অতিরিক্ত কাগজ হিসেবে আপনাকে আপনার পাসপোর্টটি এখানে জমা দিতে হবে।  পাসপোর্ট এর ফিজিক্যাল কপি আপনাকে জমা দিতে হবে না পাসপোর্ট এর একটি ফটোকপি আপনাকে তাদেরকে প্রদান করতে হবে।  কিন্তু আপনি যখন আপনার কার্ডটিতে ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করবেন তখন আপনাকে আপনার পাসপোর্ট  প্রদর্শন করাতে হবে  এবং আপনি কত ডলার আপনার কাটিতে এন্ডোর্সমেন্ট করেছেন সেই কথাটি আপনার পাসপোর্ট এর লেখা থাকবে। 

তারপরও আমরা এখানে লিস্ট করে দিলাম আপনার কোন কোন কাগজপত্রগুলো সাথে নিয়ে যাবেন  একটি আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড  এই মুহূর্তে সিটি ব্যাংক  বাংলাদেশ থেকে।

১।   ন্যাশনাল আইডির ফটোকপি

২।  দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি

৩। পাসপোর্ট

৪।  নমিনির এনআইডি কার্ডের ফটোকপি

৫।  নমিনীর 1 কপি  পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি

এগুলো হচ্ছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনি আপনার সাথে এগুলো নিয়ে যাবেন আর যদি আপনার কাছে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের কাগজ থাকে সেটিও আপনি নিয়ে যেতে পারেন কাজে আসতে পারে।  তবে আমরা যখন আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড নিতে সিটি ব্যাংকে গিয়েছিলাম সেই সময় আমাদের কাছে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ যাওয়া হয়নি আশা করি আপনার কাছে চাওয়া হবে না।  কিন্তু আপনি যদি সেই বিদ্যুৎ বিলের কাগজ নিয়ে যান তাহলে অবশ্যই আপনার একাউন্টের মাধ্যমে কিছু সুবিধা আপনি পেতে পারেন। 

কিভাবে সিটি ব্যাংকে পার্সোনাল একাউন্ট খুলবেন?

সিটি ব্যাংকে পার্সোনাল একাউন্ট খোলার জন্য  আপনাকে  নিকটস্থ যেকোন  সিটি ব্যাংক শাখায় যেতে হবে।  আপনি সিটি ব্যাংকে একেবারে নতুন হলে যখন আপনি সিটি ব্যাংকে প্রবেশ করবেন  তখন একজন গেটম্যান আপনার  দরজা খুলে দেবে।  আপনি ব্যাংকে প্রবেশ করার সাথে সাথে গেটম্যান কে বলতে পারেন যে আপনি নতুন একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে আগ্রহী আপনি কোন ডেক্স যেতে পারেন।  ঐ  গেটম্যান  আপনাকে অবশ্যই বলে দেবে যে আপনি কোন ডেক্সে গেলে আপনার কাংখিত ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারেন এবং আপনার সেই কাঙ্খিত আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড টি আপনি ইনস্ট্যান্ট নিয়ে নিতে পারবেন।

নির্ধারিত ডেক্সে গেলে অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার অর্থাৎ যিনি অ্যাকাউন্ট খোলেন বা একাউন্ট খোলা দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি আপনাকে 4 পেজ এর একটি একাউন্ট অপেনিং ফর্ম দেবেন এবং আপনাকে দেখিয়ে দেবেন যে কোন কোন জায়গায় আপনার স্বাক্ষর করতে হবে। আপনার কাজ শুধু ঐ একাউন্ট অপেনিং ফর্ম  টিতে স্বাক্ষর করা  ইনফরমেশন তথ্য একাউন্ট নিজ দায়িত্বে লিখে নেবেন পূরণ করে দেবেন। 

তবে একাউন্ট অপেনিং ফর্ম দেওয়ার আগে আপনার কাছে তিনি জিজ্ঞাসা করে নেবেন যে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে এসেছেন কিনা।  পূর্বে উল্লেখিত আপনার কাগজপত্রগুলো যদি আপনি নিয়ে যান তাহলে অবশ্যই আপনার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার আপনার কাছে কাগজগুলো নেবেন এবং সেগুলো যাচাই করবেন যে আপনি আসলেই বাংলাদেশের নাগরিক কিনা। বা আপনি যে ন্যাশনাল আইডি কার্ডটি সেখানে জমা দিচ্ছেন সেই কার্ডটি আসলে ন্যাশনাল আইডি কার্ড কিনা। 

এই ফাঁকে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার কে বলে দিন যে আপনি আপনার আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড থেকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন।  তাহলে তিনি আপনার কাছে পাসপোর্টটি চেয়ে নিবেন এবং সেই পাসপোর্টের ফটোকপি এক কপি আপনার একাউন্ট অপেনিং ফর্ম এর সাথে তিনি সংযুক্ত করবেন।

একাউন্ট অপেনিং যেটি সেটি চার পৃষ্ঠার একটি ফরম এবং আপনি চাইলে আমাদের নিচে দেওয়া প্রথম পৃষ্ঠার ছবিটি দেখে মিলিয়ে নিতে পারেন যে ফরমটি দেখতে এরকম কি না।  তবে বলে রাখা ভালো সিটি ব্যাংক তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে পরিচালনা করার জন্য তারা তাদের একাউন্ট অপেনিং ফর্ম টি যেকোনো সময় পরিবর্তন পরিবর্তন সংযোজন-বিয়োজন  করতে পারেন।  তাই আমাদের দেওয়া নিচের ফরমটি  সেটির সাথে ব্যাংকে দেওয়া একাউন্ট অপেনিং ফর্ম টি নাও মিলতে পারে।  তবে আমরা যেই একাউন্ট অপেনিং ফর্ম টি নিচের ছবিতে সংযুক্ত করেছে সেটি আমাদের কাছে লেটেস্ট ছিল অর্থাৎ 2021 সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত আমরা এই ফরমটি পূরণ করে এসেছি সিটি ব্যাংকে।

the city bank account opening from 2021

অ্যাকাউন্ট ওপেনিং সফলভাবে সম্পন্ন হলে আপনাকে একটি চেক বই প্রদান করা হবে এবং সেই চেকবইয়ের উপরে আপনার অ্যাকাউন্ট নাম্বার টি লেখা থাকবে এখন আপনাকে আপনার সেই অ্যাকাউন্ট নম্বর ধরে ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে  সর্বনিম্ন 500 টাকা জমা দিতে হবে।  যেহেতু আপনি আপনার অ্যাকাউন্টটি ব্যবসায়িক চিন্তা ভাবনা নিয়ে খুলতে চলেছেন সে ক্ষেত্রে আমি বলব যে আপনি মোটামুটি দুই থেকে তিন হাজার টাকা ডিপোজিট করে দিন।  আপনার একাউন্ট একটিভ হয়ে গেলে আপনার একাউন্টে সর্বনিম্ন 500 টাকা রেখে আপনি আপনার চেকের মাধ্যমে তার পরবর্তী কার্যদিবসে বাকি যে টাকা রয়েছে সেটি আপনি তুলে নিতে পারবেন। 

নিচে দেওয়া ছবিতে আমরা আমাদের একাউন্ট ওপেনিং এর চেক বইটি সংযুক্ত করেছি আপনাদের বোঝানোর জন্য।   আপনি চাইলে আমাদের দেওয়ার চেক বইটি দেখতে পারেন এবং এখান থেকে ধারণা নিতে পারেন যে আপনার সিটি ব্যাংকের চেক বইটি কেমন হতে পারে।  

the city bank online banking 2021

বলে রাখা ভাল সিটি ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং সেবা ফ্রিতে প্রদান করে অর্থাৎ আপনাকে অনলাইন ব্যাংকিং এর জন্য আলাদাভাবে কোন কিছু করতে হবে না যেমনটা আমরা ডাচ বাংলা ব্যাংক বা ব্র্যাক ব্যাংক বা অন্য কোন ব্যাংক গুলোর ক্ষেত্রে দেখে থাকি।  আপনার অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি হচ্ছে আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্ট নাম্বার।  অনলাইন ব্যাংকিং এর জন্য সিটি ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে এবং আপনি সাথে সাথে আপনার অনলাইন ব্যাংকিং  নিজে থেকে  একটিভ করে নিতে পারবেন। 

ক্যাশ কাউন্টারে টাকা জমা দেওয়া হয়ে গেলে আপনি পুনরায় ফেরত আসুন আপনার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজারের কাছে যিনি আপনার অ্যাকাউন্টটি খুলে দিয়েছেন।  সেই অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার কে আপনি নিশ্চিত করুন যে আপনি টাকা জমা দিয়ে দিয়েছেন।  টাকা জমা হয়ে গেলেই অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার আপনাকে আপনার কাঙ্খিত আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড টি দিয়ে দিবেন।   আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড টি আপনার নামে ইস্যু করা হবে  এবং কাটি আপনাকে একটি প্যাকেট এর মধ্যে দেওয়া হবে।

 আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড টি একটি ইন্টার্নেশনাল কার্ড তাই এই কার্ডটির গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য এবং যে কোন প্রকার অনলাইন  প্রতারণা থেকে রক্ষা করতে  আপনাকে একটি প্যাকেটের মধ্যে দেওয়া হবে। 

নিচে আমরা আমাদের কার্ড এর প্যাকেটের ছবিটি সংযুক্ত করলাম।  মূলত সবাইকে একই ধরনের প্যাকেটেই কার্ড দেওয়া হয়।  আপনি এখান থেকে আইডিয়া নিতে পারেন যে আপনাকে কি ধরনের প্যাকেটে   আপনার কাঙ্খিত আমেরিকান এক্সপ্রেস ডুয়েল কারেন্সি কার্ডটি আপনাকে দেওয়া হবে।

American express card

সিটি ব্যাংকে পার্সোনাল একাউন্ট  খোলা বা ওপেন করার পদ্ধতি মোটামুটি এখানেই সমাপ্তি এখন আপনার যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনার কার্তিককে একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড এ কনভার্ট করতে হবে এবং এজন্য আপনাকে আপনার  আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ডটিতে ডলার এনডোর্সমেন্ট করতে হবে। 

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনার একাউন্টে যতক্ষণ না একটি হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি আপনার আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ডটিতে  কোনভাবেই ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করতে পারবেন না।  এজন্য আপনাকে আপনার কার্ডটি একটি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। 

কিভাবে আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড অ্যাক্টিভ  করবেন?

কাঙ্খিত আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড ডিএক্টিভ করার জন্য আপনাকে সরাসরি সিটি ব্যাংকের কল সেন্টার এর ফোন করতে হবে এবং সিটি ব্যাংকের কল সেন্টার নাম্বারটি হচ্ছে 16234

আপনি অ্যাকাউন্ট ওপেন করার সময় যে ফোন নাম্বারটি প্রদান করেছিলেন সেই ফোন নাম্বার টির মাধ্যমে আপনাকে সিটি ব্যাংকের কল সেন্টারে ফোন করতে হবে তাহলে আপনাকে এডিশনাল কোন ইনকোয়ারি করা হবে না ।

সিটি ব্যাংকের কল সেন্টারে কল দিন এবং  আইভিআর -এ থাকা ইন্সট্রাকশন গুলো ফলো করুন।  সেখান থেকে খুঁজে বের করুন  কোন কিটি (Key) চাপলে আপনাকে কাস্টমার ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হবে।  একবার কাস্টমার ম্যানেজার আপনার কলটি রিসিভ করলে আপনি বলে দিন যে আপনি আপনার নতুন নেওয়া আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড টিকে একটিভ করতে চাচ্ছেন। 

এরপর কাস্টমার ম্যানেজার আপনার কাছে কিছু ইনফরমেশন জানতে  চাইবেন  এইজন্য যে আসলেই আপনি সেই ব্যাংক  অ্যাকাউন্টের মালিক আপনি নিজেই কিনা।  ইনফর্মেশন যদি সঠিক হয়  তাহলে কাস্টমার ম্যানেজার আপনার আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড টি সাথে সাথে একটিভ করে দেবেন।

 কিভাবে আপনি আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ডে ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করবেন?

সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভ হয়ে গেলে এবং সাথে আপনার আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড ডিএক্টিভ হয়ে গেলে আপনি পুনরায় আপনার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজারের কাছে চলে যান এবং তিনাকে অবহিত করুন যে আপনি ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করতে যাচ্ছেন।  এবার সেই অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার আপনাকে একটি ডলার এন্ডোর্সমেন্ট প্রদান করবে এবং সেই ফর্মে আপনাকে যাবতীয় ইনফর্মেশন লিখতে হবে এবং সেই সাথে সেখানে উল্লেখ করতে হবে আপনি কত ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করতে চাচ্ছেন।  

বলে রাখা ভাল  2021 সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সিটি ব্যাংকের মিনিমাম ডলার এন্ডোর্সমেন্ট হচ্ছে 100 ডলার অর্থাৎ 100 ডলারের নিচে আপনি এনডোর্সমেন্ট করাতে পারবেন না। 

নিচে আমরা আমাদের ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করে দিলাম আপনি দেখে নিতে পারেন পূর্ব অভিজ্ঞতার জন্য যে আসলেই ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করার সময় আপনার কাছে কি কি ধরনের ইনফরমেশন তারা চেয়ে থাকে।

dollar endorsement form

ডলার এন্ডোর্সমেন্ট ফরমটি পূরণ করা হয়ে গেলে আপনি ক্যাশ কাউন্টারে আপনার সমপরিমাণ টাকা আপনি জমা দিন।  ডলার রেট ওঠানামা করে এজন্য আপনাকে তারা একটি এক্সচেঞ্জ রেট দিয়ে দিবে এবং সেই রেট আনুসারে  টাকা ক্যাশ কাউন্টারে জমা দিতে হবে। 

ক্যাশ কাউন্টারে টাকা জমা দেওয়ার শেষ হয়ে গেলে আপনি চলে আসুন আপনার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজারের কাছে এবং নিশ্চিত করুন যে আপনি ক্যাশ কাউন্টারে টাকা  জমা দিয়ে দিয়েছেন।  এবার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার আপনার কাছে ফিজিক্যাল পাসপোর্টটি নেবেন এবং ডলার এন্ডোর্সমেন্ট সেটিও নিয়ে নেবেন।  আপনার কার্তিক একটি দুয়াল কারেন্সি কার্ড হিসেবে এপ্রুভ করার জন্য অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার আপনার পাসপোর্টটি সিগনেচার করে নিশ্চিত করবেন যে আপনার কারতি একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড হিসেবে এপ্রুভ করা হয়েছে এবং আপনার  আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড ডলার এন্ডোর্সমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।

এই হচ্ছে মোটামুটি আপনার ডলার এন্ডোর্সমেন্ট শেষ হয়ে গেলে আপনি সাথে সাথেই অনলাইন মার্কেটে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট যেটা আমরা বলে থাকি সেই মার্কেটে আপনি যেকোন ধরনের প্রোডাক্ট কিনতে পারবেন।  তবে বলে রাখা ভাল বর্তমান সময়ে আপনি আপনার আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড এর মাধ্যমে যদি গুগল এড কিংবা ফেসবুক অ্যাড এ পেমেন্ট করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে অতিরিক্ত 15% ভ্যাট বাংলাদেশ সরকারকে প্রদান করতে হবে এবং এটি অটোমেটিকভাবে আপনার আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড থেকে কেটে নিয়ে চলে যাওয়া হবে। 

উপরে উল্লেখিত আর্টিকেলটির  সম্পূর্ণ একটি ভিডিওব্লগ দেখতে  নিচের দেওয়া ভিডিওটি দেখতে পারেন।  এই ভিডিওতে আমরা আমেরিকান এক্সপ্রেস  ডুয়েল কারেন্সি নিয়ে  বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং  সরাসরি ব্যাংকে একাউন্ট অপেনিং আমরা দেখিয়েছি।  আশা করি নিচের দেওয়া ভিডিওটি আপনার কাজে আসবে। 

Related Articles

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles